চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে টানা তিন দিন মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শনিবার (২৯ মার্চ) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অধিদফতর।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রচণ্ড গরম আর অসহনীয় তাপদাহে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ ও রাস্তায় চলাচলকারী ভ্যানচালকরা।
রোজার মাসের কঠোর পরিশ্রমের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে প্রখর রোদ ও প্রচণ্ড গরম, যা তাদের জীবনকে আরও দুর্বিষহ করে তুলেছে। দিনের পর দিন রোজা রেখে, গরমের মধ্যে ঘাম ঝরিয়ে কাজ করে চলেছেন তারা—কেবল রুটিরুজির জন্য। কিন্তু এই শ্রম যেন শুধু কষ্টকর নয়, বরং এক ধরনের সহ্যসীমার পরীক্ষায় পরিণত হয়েছে।তীব্র তাপদাহে শরীর যেন অসাড় হয়ে আসে, প্রচণ্ড ক্লান্তি আর পানিশূন্যতায় নাজেহাল হয়ে পড়েন অনেকে। কিন্তু জীবিকার তাগিদে পিছু হটার সুযোগ নেই। পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে, সামনের ঈদের কেনাকাটার জন্য সামান্য কিছু টাকা জোগাড় করতেই তাদের এই কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
এদিকে গরমের কারণে বাজারেও দেখা দিয়েছে ভিন্ন চিত্র। ঈদ আসন্ন, কিন্তু প্রচণ্ড গরমের কারণে দিনের বেলায় মানুষ বাজারে যেতে পারছে না। বিকেল থেকে সন্ধ্যার পর যখন সূর্যের তেজ কিছুটা কমে আসে, তখনই বাজারগুলোতে মানুষের আনাগোনা বাড়তে দেখা যায়। ক্রেতারা গরম এড়িয়ে তখনই প্রয়োজনীয় কেনাকাটা সেরে নিচ্ছেন।
এই অস্বাভাবিক গরমে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি নিম্নবিত্ত শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট যেন কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। প্রখর রোদ, রোজা, পরিশ্রম আর ঈদের প্রস্তুতির চাপে তারা নিত্যদিনের এক কঠিন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। তবুও বেঁচে থাকার তাগিদে তারা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন, ক্লান্ত শরীর নিয়েও রাস্তায় নেমে পড়ছেন জীবিকার সন্ধানে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে মাঝারি তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আজ শনিবার বিকাল ৩টায় এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৮ শতাংশ। বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকায় গরম কম অনুভূত হচ্ছে। তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি ও তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
GIPHY App Key not set. Please check settings