সিরিয়া ও ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। শনিবার তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, জর্ডান ও অন্যান্য প্রতিবেশী রাষ্ট্র যুদ্ধবিরতির এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। খবর আল জাজিরার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে: যুক্তরাষ্ট্র দ্রুজ, বেদুইন ও সুন্নি সম্প্রদায়ের মানুষদের অস্ত্র ত্যাগ করে অন্য সংখ্যালঘুদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে নতুন এক সিরীয় পরিচয় গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে। তবে বিবদমান দুপক্ষ এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ইসরাইলি কর্মকর্তা বলেছেন, চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী ৪৮ ঘণ্টার জন্য সুইদা জেলায় [সিরীয়] অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনীকে সীমিতভাবে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে ইসরাইল।
এর আগে গত বুধবার সিরিয়ায় ব্যাপক বিমান হামলা চালায় ইসরাইল। এসময় রাজধানী দামেস্কে সিরীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়েও হামলা চালানো হয়। ব্যাপক হামলা হয় সুইদা অঞ্চলে অবস্থিত সরকারি বাহিনীর ওপরও। ইসরাইলের দাবি, তারা সুইদায় দ্রুজ সম্প্রদায়ের সুরক্ষায় এই হামলা চালিয়েছে। এই অঞ্চলে সম্প্রতি দ্রুজ ও বেদুইন সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং সরকারি বাহিনীর মধ্যে জাতিগত সংঘাতে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সিরিয়ার প্রায় ১০ লাখ দ্রুজ জনগণকে ‘ভাই’ বলে অভিহিত করে আসছেন। ইসরাইলেও প্রায় দেড় লাখ দ্রুজ জনগোষ্ঠী বসবাস করে। যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক ও আরব রাষ্ট্রগুলোর মধ্যস্থতায় গত বুধবার সিরীয় সরকার ও দ্রুজ নেতাদের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও সেই দিনই ফের বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ৩৪ জন।
এই হামলার পর সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে বলেন, “দ্রুজ নাগরিকদের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষা করা সরকারের অগ্রাধিকার। আমরা ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ চাই না। ইসরায়েল সিরিয়াকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছে, কিন্তু আমরা কোনোভাবেই তা সফল হতে দেব না।”
তবে শুক্রবার ফের সুইদা জেলায় দ্রুজ ও বেদুইন সম্প্রদায়ের মধ্যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সিরীয় সরকার সেখানে একটি বিশেষ বাহিনী মোতায়েন করেছে।



GIPHY App Key not set. Please check settings