চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গায় দ্বিতীয় দিনের মতো স্বাস্থ্য সহকারি নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে মানববন্ধন ও লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে চাকরি প্রার্থীরা।
সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন কাযালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সিভিল সার্জনের প্রত্যাহার ও সুষ্ঠু তদন্তের দাবীতে লাগাতার এ কর্মসূচিতে অংশ নেন চাকরি প্রার্থীরা। তাদের সাথে একাত্মতা জানিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃৃবৃন্দ।
চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ, গত ২০ জুন চুয়াডাঙ্গায় অনুষ্ঠিত স্বাস্থ্য সহকারী পদের নিয়োগ পরীক্ষায় ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি হয়েছে। পরীক্ষার আগেই প্রশ্নপত্র ফাঁস, অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীদের উত্তীর্ণ দেখিয়ে চূড়ান্ত করা ও এক এলাকার প্রার্থীকে আরেক এলাকায় মনোনীত করার মতো অনিয়ম দেখা গেছে।
অথচ এতকিছুর পরও তড়িঘড়ি করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে চাই সিভিল সার্জন। আমরা এই নিয়োগের সুষ্ঠু তদন্ত চাই।
তামান্না নামের এক প্রার্থী বলেন, এ নিয়োগের সুস্থ তদন্ত ও নিয়োগ বাতিল করে পুনরায় নিয়োগ দেওয়া হোক। তা নাহলে আমরণ অনশন করবো। প্রয়োজনে হাইকোর্টে রিট করবো।
সবুজ নামের আরেক প্রার্থী বলেন, গত ২০ শে জুন চুয়াডাঙ্গায় স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগের যে লিখিত পরীক্ষা হয়েছিল, সেই রাতে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জনের কার্যালয় রাত তিনটা পর্যন্ত খোলা ছিল। এই নিয়োগ স্থগিত করে আবার নতুন নিয়োগ দেয়া হোক।
রাকিবুল ইসলাম নামের আরেক প্রার্থী বলেন, যারা মেধাবী তারা চাকরি পাচ্ছে না। যারা অনুপস্থিত ছিল, পরীক্ষা দেয়নি তারা চাকরি পাচ্ছে। আমরা এই নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল, সিভিল সার্জন ডা. হাদী জিয়া উদ্দীনের প্রত্যাহারসহ সুষ্ঠু তদন্ত চাই।
জানা গেছে, গত ২০ জুন চুয়াডাঙ্গা জেলার ১৯টি কেন্দ্রে একযোগে স্বাস্থ্য সহকারী পদের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ৩৯টি পদের বিপরীতে আবেদন করেন ১৩ হাজার ৬৬৮ জন। তবে পরীক্ষায় অংশ নেন চার হাজার ৮৭৪ জন।
নিয়োগ ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হাদী জিয়া উদ্দীন আহমেদের অনিয়ম দুর্নীতি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচার হয়। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বিষয়টি জেলাজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।



GIPHY App Key not set. Please check settings