in

২২ শিক্ষকের ৩০ শিক্ষার্থী, পাস করেনি কেউ

গাইবান্ধা: গাইবান্ধা জেলার দুই শিক্ষাপ্রতিষ্টান হতে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা ৩০ শিক্ষার্থীর কেউই পাশ করেনি। উক্ত দুই প্রতিষ্টানে ৩০ পরীক্ষার্থীর বিপরীতে ২২ জন শিক্ষক থাকার পরেও এমন বিস্ময়কর ব্যর্থতায় হতবাক অভিভাবকরা। এতে এলাকার সচেতন মহল উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
গতকাল প্রকাশিত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে দুটি এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কেউ পাস করেনি। বিদ্যালয় দুটির একটি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বিশ্বনাথপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এবং অপরটি সাঘাটা উপজেলার ঘুরিদহ উচ্চ বিদ্যালয়।
শুক্রবার (১১ জুলাই) দুপুরে এমপিওভুক্ত এ দুটি বিদ্যালয়ের শতভাগ শিক্ষার্থী ফেল করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান।

জানা যায়, সাঘাটা উপজেলার ঘুরিদহ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৪ জন শিক্ষার্থী এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এরমধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১০ জন এবং মানবিক বিভাগ থেকে ১৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। তাদের একজনও পাস করেনি। বিদ্যালয়টিতে শিক্ষক-কর্মচারী ১৭ জন। তার মধ্যে শিক্ষকের সংখ্যা ১২ জন।

অপরদিকে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বিশ্বনাথপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ১২ জন শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে শিক্ষক ১০ জন। বিদ্যালয়টি থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে মানবিক বিভাগের ৬ জন শিক্ষার্থী। তাদের সবাই পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে।
শতভাগ ফেল করার বিষয়ে জানতে সাঘাটার ঘুরিদহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা. শাহেদা বেগম এবং গোবিন্দগঞ্জের বিশ্বনাথপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস হোসাইনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তাদের কেউই ফোন রিসিভ করেননি।

এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, আমি গত ২ জুলাই এখানে যোগদান করেছি। রেজাল্ট সংক্রান্ত বিস্তারিত আগামী রোববার দিতে পারবো। তবে, জেলায় পাসের হার ৬২ শতাংশ এবং একজন শিক্ষার্থীও পাস করেনি, এমন বিদ্যালয়ের সংখ্যা দুটি।

তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, প্রতি মাসে শিক্ষকদের এত টাকা বেতন দেওয়ার পরও একজন শিক্ষার্থী পাস করতে না পারার বিষয়টি অত্যন্ত লজ্জার। প্রতিষ্ঠান দুটিকে শতভাগ জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে। পাশাপাশি যেসব বিদ্যালয়ে ফেলের হার উদ্বেগজনক, তাদেরকেও জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে। কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

চলতি বছরের ১০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জেলার সাত উপজেলার ৬৬টি কেন্দ্রে ৩২ হাজার ৮৩৭ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।

What do you think?

Written by admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

GIPHY App Key not set. Please check settings

‘আমাদের গল্প এখন বিশ্বজুড়ে শোনা যাচ্ছে’

পুতুলকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠালো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা